Tuesday, December 26, 2006

Sunday, December 24, 2006

উল্টো ঘুড়ি

এতো সহজেই ভালোবেসে ফেলি কেন!
বুঝি না আমার রক্তে কি আছে নেশা-

দেবদারু-চুলে উদাসী বাতাস মেখে
স্বপ্নের চোখে অনিদ্রা লিখি আমি,
কোন বেদনার বেনোজলে ভাসি সারাটি স্নিগ্ধ রাত?

সহজেই আমি ভালোবেসে ফেলি, সহজে ভুলিনা কিছু-
না-বলা কথায় তন্ত্রে তনুতে পুড়ি,
যেন লাল ঘুড়ি একটু বাতাস পেয়ে
উড়াই নিজেকে আকাশের পাশাপাশি।

সহজে যদিও ভালোবেসে ফেলি
সহজে থাকি না কাছে,
পাছে বাঁধা পড়ে যাই।
বিস্মিত তুমি যতোবার টানো বন্ধন-সুতো ধ’রে,
আমি শুধু যাই দূরে।

আমি দূরে যাই-
স্বপ্নের চোখে তুমি মেখে নাও ব্যথা-চন্দন চুয়া,
সারাটি রাত্রি ভাসো উদাসীন বেদনার বেনোজলে...

এতো সহজেই ভালোবেসে ফ্যালো কেন?
উল্টো ঘুড়ি :: রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ ; দিয়েছিলে সকল আকাশ:


[আমার বন্ধুরা বা যারা আমার ব্লগ নিয়মিত পড়ে তাদের একটা অপবাদ আমার প্রায়ই শুনতে হয় যে, আমি যখন লেখার কিছু খুঁজে পাই না তখন ব্লগে কবিতা লিখা শুরু করি, তাদের উদ্দেশ্যে বলছি- আমি নিয়মিত কবিতা পড়ি এবং যে কবিতা গুলো আমার মাথার ভিতর ঢুকে যায় শুধু সেগুলোই আমি ব্লগে দেই- এর বেশি কিছু নয়।]

Thursday, December 21, 2006

দূরে আছো দূরে

তোমাকে পারিনি ছুঁতে, তোমার তোমাকে-
উষ্ণ দেহ ছেনে ছেনে কুড়িয়েছি সুখ,
পরস্পর খুড়ে খুড়ে নিভৃতি খুঁজেছি।
তোমার তোমাকে আমি ছুঁতে পারি নাই।

যেভাবে ঝিনুক খুলে মুক্ত খোঁজে লোকে
আমাকে খুলেই তুমি পেয়েছো অসুখ,
পেয়েছো কিনারাহীন আগুনের নদী।

শরীরের তীব্রতম গভীর উল্লাসে
তোমার চোখের ভাষা বিস্ময়ে পড়েছি-
তোমার তোমাকে আমি ছুঁতে পারি নাই।
জীবনের ’পরে রাখা বিশ্বাসের হাত
কখন শিথিল হয়ে ঝ’রে গেছে পাতা।
কখন হৃদয় ফেলে হৃদপিন্ড ছুঁয়ে
বোসে আছি উদাসীন আনন্দ মেলায়-

তোমাকে পারিনি ছুঁতে-আমার তোমাকে,
ক্ষাপাটে গ্রীবাজ যেন, নীল পটভূমি
তছ নছ কোরে গেছি শান্ত আকাশের।
অঝোর বৃষ্টিতে আমি ভিজিয়েছি হিয়া-

তোমার তোমাকে আমি ছুঁতে পারি নাই।।
দূরে আছো দূরে :: রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ ; দিয়েছিলে সকল আকাশ :


[ইদানীং আমি আবার কবিতা পড়া শুরু করেছি, রুদ্র’র এই কবিতাটি আমার মনের কথা বলে, অবশ্য দিয়েছিলে সকল আকাশ এর সব গুলো কবিতাই আমার অনেক প্রিয়।]

Thursday, December 07, 2006

ভিন্ন আদল

অনেক দিন পর ব্লগ এর চেহারাটা একটু ভিন্ন আদলে রূপ দিলাম...কালো আমার প্রিয় রঙ, তাই কালোতেই সাজালাম সবকিছু...

মেঘমালা

Friday, December 01, 2006

ভালো লাগে ফুল, কিছু কিছু ভুল

অনেক দিন ধরেই লেখার তাগিদ অনুভব করছিলাম কিন্তু কি লিখব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। মাঝে ঘটে গেছে অনেক পরিবর্তন, অনেক কিছুতেই। চুপ করে শীতকাল চলে এসেছে, সন্ধ্যায় রাস্তায় বের হলেই টের পাওয়া যায় ব্যাপারটা...আমার এক প্রকার ভালো না লাগা রোগ হয়েছে, কোনো কিছুই ভালো লাগে না...ক্লাস, ল্যাব, পড়াতে যাওয়া, ঘুমানো- কোনো কিছুই না... অথচ আমি গান শুনি সামিনা চৌধুরীর, “ভালো লাগে ফুল, কিছু কিছু ভুল, ভালো লাগেরে সবই...” হাস্যকর!

Sunday, November 05, 2006

২২ অক্টোবর, ২০০৬

অনেকদিন পর যান্ত্রিক ঢাকা শহরের কালো ধোয়া থেকে দূরে ঈদের ছুটিতে গ্রামে বসে লিখছি। মাঝে পরীক্ষার কারনে সময় হয়ে ওঠেনি, লিখতে ইচ্ছে করেনি পরীক্ষা শেষ হবার পরেও। কনফুসিয়াস কে ধন্যবাদ আমার ব্লগটি বাংলা ইউনিকোড ব্লগ সাইটে যুক্ত করার জন্যে।

সম্ভবত আমি একজন নৈরাশ্যবাদী মানুষ, এজন্য একজন অর্থনীতিবিদের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তি আমাকে উদ্বেলিত করেনা বরং ৩৮% সুদে ঋন নেয়া মানুষগুলোর প্রতি সপ্তাহে ঋনের কিস্তি পরিশোধের প্রানান্ত চেষ্টা আমাকে পীড়া দেয় এবং হাসি পায় যখন সর্বজন শ্রদ্ধেয় একজন রাজনৈতিক দল গড়ার আশ্বাস দেন। সত্যিই দেশ এগিয়ে চলেছে অদ্ভুত এক উটের পিঠে চেপে।

Wednesday, September 13, 2006

নির্বাসন

পরীক্ষা সামনে তাই কয়েকদিনের স্বেচ্ছা নির্বাসন...

Monday, September 11, 2006

বাগানবিলাস

বারান্দার প্রথম প্রস্ফুটিত বাগানবিলাস...

Wednesday, September 06, 2006

উপলব্ধি

মধ্যযুগের গোঁড়ামি এবং কুসংস্কার এখনো হিন্দু সমাজে বিদ্যমান। সাম্প্রতিক সতীদাহের এই ঘটনা থেকে সত্যটি উপলব্ধি করি এবং শিহরিত হই...

Tuesday, September 05, 2006

উন্নয়নের রাজনীতি

উন্নয়নের জন্যে রাজনীতি- নাক সিটকানোর মতোই একটি বিষয় এখন আমাদের দেশে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে আমাদের দেশের রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামাই না কিন্তু যখন দেখি একটি দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর গণমিছিল ও জনসভায় যোগ দিতে জোর করে আনা পক্ষাঘাতগ্রস্থ বৃদ্ধের পথেই মৃত্যু ঘটে কিংবা আমরা সারাদিন দুর্ভোগের ভিতর দিনযাপন করি- তখন কিছু প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খায়।

একটি তৈলাক্ত বাঁশ এবং বানরের যে বিখ্যাত অংকটির কথা বলা হয় সেই অংকটি আমি কখনো পাইনি আমাদের নতুন সিলেবাসে কিন্তু নিজের আগ্রহের কারনে আমি অংকটি সংগ্রহ করে সমাধান করেছিলাম ছোটবেলায়। যাইহোক আজ এই বড়বেলায় এসেও আমার সেই অংকটির কথা মনে পড়ে যায়- “দেশে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যাচ্ছে” কিংবা “আমরা উন্নয়নের রোডম্যাপ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি” জাতীয় কথা শুনে। পাশাপাশি ‘উন্নয়নের রাজনীতির’ স্বরুপ বিশ্লেষন করে এইটুকু নিশ্চিত হতে পেরেছি যে রাজনীতি করলে দেশের কিছু হোক বা না হোক নিজের উন্নয়ন অবশ্যম্ভাবী, দুঃখ শুধুই মেহের খলিফার মতো সাধারন জনগনের জন্যে যাদের গায়ে ‘ভুক্তভোগী’ তকমা এঁটে শুধু দেখে যাওয়া ছাড়া আর কিছুই করবার নেই...



. অংকটি ছিল এইরকম...একটি বানর একটি তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে প্রথম মিনিটে তিন ফুট উপরে ওঠে এবং দ্বিতীয় মিনিটে দুই ফুট নিচে নেমে যায়। তাহলে একটি বিশ ফুট লম্বা তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে উঠতে বানরটির মোট কত সময় লাগবে?

Wednesday, August 30, 2006

প্রশান্তি

কোথাও আমার হারিয়ে যাবার নেই মানা...

নির্লিপ্ত

এই আমি এখন খুবই নির্লিপ্ত জীবনে অভ্যস্ত। বুয়েট বন্ধ হওয়ার পর থেকেই কর্মহীন দিন যাপন করছি...সকালে ঘুম থেকে উঠার পর প্রথম যে কথাটা মনে হয় তা হলো আমার আজকে সারাদিন কোনো কাজ নেই...আর কত দিন আমাদের এইভাবে অলস সময় পার করতে হবে?

বিচিত্র দেশ

লিখার জন্য মন কেমন করছিল কয়েকদিন থেকেই, পছন্দসই কোনো কিছু খুঁজে পাচ্ছিলাম না...


স্মৃতি হাতড়ে পেয়ে যাই নিজের অস্তিত্ব রক্ষার কথা, দুই বছর আগের এই দিনে নটরডেম কলেজ থেকে ফিরছিলাম বাসায়। অল্পের জন্য বেঁচে যাই আমি কেননা দশ মিনিট আগে যে পথ দিয়ে ফিরছিলাম সেখানেই ছিল বিরোধীদলের সমাবেশ এবং সেই সমাবেশেই ঘটে গ্রেনেড ছুড়ে মারার ঘটনা। হাস্যকর-দুই বছরেও আমরা জানতে পারিনি কে বা কারা এই ঘটনার জন্য দায়ী-সত্যিই বড় বিচিত্র এদেশ!


কয়েকদিন আগে ফুলার রোড হয়ে বুয়েটের পিছনের রাস্তার ফুটপাত ধরে হাটছিলাম আপন মনে। সংবিত ফিরে পাই পাশ দিয়ে চলে যাওয়া এক রিকশাওয়ালার মন্তব্য শুনে - “ ভাইরে দোযখের দিকে তাকাইয়া রিকশার তলে পইড়েন না ” তাকিয়ে দেখি এক ভদ্রলোক রাস্তা পার হওয়ার সময়ও পাশ দিয়ে চলে যাওয়া কোনো সুন্দরীর মুখদর্শনে ব্যস্ত। ঘটনা দেখে হাসি পেলেও রিকশাওয়ালার কথাটা কানে বাজতে থাকে...


চলে গেলেন আরও এক কিংবদন্তী, ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খান (১৯১৬-২০০৬)। আর কখনোই তিনি সানাইয়ের সুর তুলবেন না...

লজ্জাবতী

পৃথিবীর রূপ

এই যে এখন আমি বড় একা ঘরে বসে আছি
সেই কবে থেকে, মনে হয়
যেন সেই ঢের শত বছরের কাল কেটে গেছে
আমার শরীর ঘেঁষে। মনে হয়, আমি অতিদূর
কালের সফেদ কেশময় মাথা নিয়ে বসে আছি-
জানা নেই পরিণতি কোন দোরে, কোন আস্তানায় পাবে ঠাঁই।
বাজিয়ে পৃথিবীর রূপ ::শামসুর রাহমান ;


[ আমাদের সবার প্রিয় কবি শামসুর রাহমান এখন গুরুতর অসুস্থ। আমরা সবাই কামনা করি কবি আবার সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসুন ]

সত্য ও সত্যনাশ

মৃত্যু হিমশীতল স্পর্শী একটি ব্যাপার। অথচ কত অবলীলায় আমরা মৃত্যু মুখে পতিত হতে পারি- নির্মম অথচ সত্য।

মানুষ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছে। দিনে দিনে ভারী হচ্ছে পাপের বোঝা কিন্তু ফিরে তাকানোর সময় কই?- সত্যনাশ।


[ আজিমপুর কবরস্থানের পাশ দিয়ে কিছুদিন আগে রিকশায় যাওয়ার সময় উপলব্ধি করি একটা জিনিষ ভুলেই বসে ছিলাম, যে কোন সময় মরে যেতে পারি। গাঁ ছমছম করা অবশ একটা অনুভূতি এসে ভর করে, অবাক হয়ে লক্ষ্য করি কিছুলোক কবরস্থানের পাশেই বাস করে। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আগরবাতির গন্ধ পাই, ভয়াবহ ব্যাপার তাই না? ]

সন্ধ্যা

সব পাখি নীড়ে ফেরে...

Thursday, August 03, 2006

ইচ্ছে ঘুড়ি

ঘুম ভেঙ্গে জেগে উঠি, চোখ মেলতেই হয়ে যায় হাওয়া...
...আমার ইচ্ছে ঘুড়ি ঘুরে বেড়ায় এই আকাশ থেকে সেই আকাশে, নীল আকাশ থেকে কালো মেঘের আকাশে, করে বিচরন শূন্য থেকে অসীমের মাঝে...কল্পনায় দেখি আরো একটি ঘুড়ি অনুসরন করে চলেছে তাকে, শুভ্র রঙ্গীন আকাশে আর একটু হলেই ছুঁয়ে দেবে...আমি লক্ষ করে চলি কিন্তু আচমকা হেয়ালি বাতাসে কেটে যায় সূতো, ইচ্ছে ঘুড়ি মেঘ স্পর্শ করার আগেই...
...বার মাসে সতের জীবন বছর ঘুরে আসে- আমি বয়ে নিয়ে বেড়াই এই যাপিত জীবন নিশ্চুপ অন্ধকারে...

Tuesday, August 01, 2006

ঘোলাটে স্বপ্ন

অনেক স্বপ্ন নিয়ে বুয়েটে ভর্তি হয়েছিলাম কিন্তু সময়ের ঘেরাটোপে আজ সবকিছু কেমন ঘোলাটে হয়ে গেছে। পরীক্ষা আসলে সেটা পিছানোর আন্দোলন এবং বুয়েট প্রশাসনের প্রহসন এখন গা সওয়া হয়ে গেছে। সর্বশেষ গত ৩০ জুলাই, ২০০৬ রাতে পুলিশ দিয়ে আন্দোলনরত ছাত্রদের পিটানোর পর হল বন্ধ করে দেয়া- বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতই। তিন ঘন্টার নোটিশে হল ছেড়ে সবার পক্ষে কী বাড়িতে পৌঁছানো সম্ভব? বুয়েট প্রশাসন কী এর কোনো জবাব দিতে পারবে?

Saturday, July 08, 2006

ইট-মানুষ-কীট

ইটের পর ইট
মাঝে মানুষ কীট

Friday, July 07, 2006

তথৈবচ

কয়েকদিন অনেকটা স্বেচ্ছাবন্দী জীবন কাটানোর পর আজ বের হয়ে যা মনে হচ্ছে তা হলো আমি আমার জীবনের কতগুলো সুন্দর বিকাল ঘুমিয়ে নষ্ট করেছি। জ্বর এবং ভদ্র ছেলেদের চুল ছোট-এই অজুহাতে চুল( প্রায় সব ) কেটে ফেলে আমার মনের অবস্থা তথৈবচ। অনেকদিন ( প্রায় এক সপ্তাহ ) পর বিকালে বের হলাম, সিটি বাসেই সন্ধ্যা নামে এখন। বাস ছুটে চলে আমার আজন্ম প্রিয়, চেনা মিরপুর রোড ধরে। কলেজগেট এর কাছের কৃষ্ণচূড়া, আসাদগেটের কাছের রাধাচূড়া, ২৭ নম্বরের মুখে কাঁঠালচাপা গাছ-যা কিনা আমি চোখ বন্ধ করলেও দেখতে পাই- কোনোদিন কী ভুলতে পারবো?

Sunday, July 02, 2006

হাস্যকর

ভোটার তালিকা হালনাগাদ এর কাজ শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচনেই আমি প্রথম ভোট দিতে পারবো, নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছে যারা নতুন ভোটার তাদের নিজ দায়িত্বে ভোটার ফরম সংগ্রহ করে পূরন করতে। মজার বিষয় হচ্ছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা করার সময়ই আমরা দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখি ( আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই আমি দেখেছি ফরম পূরনকারীদের অনেক বাড়ির ভিতর প্রবেশ করতে দেয়া হয়না নিরাপত্তা অথবা অজ্ঞতার কারনে ) সেখানে নিজ দায়িত্বে ভোটার হওয়ার ব্যাপারটা কেমন হাস্যকর লাগছে আমার কাছে। শুধু তাই নয় এমনিতেই আমাদের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে বিশাল লাইনে দাড়িঁয়ে ভোট দেয়ার ব্যাপারে আলস্য কাজ করে, এখন যদি নিজ দায়িত্বে ভোটার হতে হয় তাহলে কী হবে সহজেই অনুমেয়।
4-Photon
July 5,2006

বনমুগ্ধতা

প্রথম প্রহরের বনমুগ্ধতায় অপলক চাঁহনীর চাঁদমুখ
চমকে আমি, আড়ালে আড়ালে- যেমন তুমি দেখেছ আমায়
খুঁজে দেখা, খুঁজে দেখা- বলতে যেয়েও পারিনি
বদ্ধ আমি, নিজের আবরনে-নিজের বেড়াজালে,
আকাশের তারাকে বাস্তবে পাইনি...
তাই তো সে স্বপ্ন হয়ে গেছে।

মন প্রজাপতি উড়ে বেড়ায়
মন ভ্রমরা খুজে বেড়ায়

যেন দু’ফোটা জলের মত-স্নাত-স্নিগ্ধ-পবিত্র
মনের অন্তর্যামীতে স্থান নিয়েছে-
হারানোর ব্যথায় কেঁদেছি
মুখোশে হাসি, অন্তরের ব্যর্থতায়
কোনোদিনও বুঝলো না, পারবো না বোঝাতেও।
জীবনের শান্ত নদীতে একটি ঢেউ এসেছিল
ক্ষনিকের জন্যে তরঙ্গে দুলেছিলাম...

আজ শান্ত-সমাহিত মন
পূজায় পূজায় সাজিয়ে তোমায়,
গৌরবে মন মোহনায়-
এঁকে দেয়া বসন্ত স্বপ্ন।

Saturday, June 24, 2006

বিরতি

কিছুদিন বিরতির পর আবার শুরু করছি...যান্ত্রিক ঢাকা শহরের সবকিছুই নিয়ম মেনে চলছে...মাঝে প্রকৃতিতে এসেছে বর্ষা, যেখানেই যাচ্ছি মাঝে মাঝেই ঝুপঝুপ করে বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিয়ে যাচ্ছে...কেটে যাচ্ছে অলস দুপুর-সন্ধ্যা-রাত, মায়াবি চাঁদের আলো আমার বিছানায় কিন্তু আমার চোখে ঘুম নেই, আমি ঘুমাতে পারছি না...

Sunday, June 18, 2006

বাংলার মুখ

বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ
খুঁজিতে যাই না আর, অন্ধকারে জেগে উঠে ডুমুরের গাছে
চেয়ে দেখি ছাতার মতন বড়ো পাতাটির নিচে বসে আছে
ভোরের দোয়েল পাখি-চারদিকে চেয়ে দেখি পল্লবের স্তুপ
জাম-বট-কাঁঠালের-হিজলের-অশ্বত্থের করে আছে চুপ;
ফণীমনসার ঝোপে শটিবনে তাহাদের ছায়া পড়িয়াছে;
মধুকর ডিঙা থেকে না জানি সে কবে চাঁদ চম্পার কাছে
এমনই হিজল-বট-তমালের নীল ছায়া বাংলার অপরূপ রূপ

দেখেছিল; বেহুলাও একদিন গাঙুড়ের জলে ভেলা নিয়ে-
কৃষ্ণা দ্বাদশীর জ্যোস্না যখন মরিয়া গেছে নদীর চড়ায়-
সোনালি ধানের পাশে অসংখ্য অশ্বত্থ বট দেখেছিল, হায়,
শ্যামার নরম গান শুনেছিল, -একদিন অমরায় গিয়ে
ছিন্ন খঞ্জনার মত সে নেচেছিল ইন্দ্রের সভায়
বাংলার নদী মাঠ ভাঁটফুল ঘুঙুরের মত তার কেঁদেছিল পায়।
বাংলার মুখ ::জীবনানন্দ দাশ ; রূপসী বাংলা :

Friday, June 16, 2006

স্বভাব

যদিও আমার চোখে ঢের নদী ছিলো একদিন
পুনরায় আমাদের দেশে ভোর হ’লে,
তবুও একটি নদী দেখা যেতো শুধু তারপর;
কেবল একটি নারী কুয়াশা ফুরোলে
নদীর রেখার পার লক্ষ্য ক’রে চলে;
সূর্যের সমস্ত গোল সোনার ভিতরে
মানুষের শরীরের স্থিরতর মর্যাদার মতো
তার সেই মূর্তি এসে পড়ে।
সূর্যের সম্পূর্ণ বড় বিভোর পরিধি
যেন তার নিজের জিনিস।
এতদিন পরে সেইসব ফিরে পেতে
সময়ের কাছে যদি করি সুপারিশ
তা’হলে সে স্মৃতি দেবে সহিষ্ণু আলোয়
দু-একটি হেমন্তের রাত্রির প্রথম প্রহরে;
যদিও লক্ষ লোক পৃথিবীতে আজ
আচ্ছন্ন মাছির মত মরে-
তবুও একটি নারী ’ভোরের নদীর
জলের ভিতরে জল চিরদিন সূর্যের আলোয় গড়াবে
এ রকম দু-চারটে ভয়াবহ স্বাভাবিক কথা
ভেবে শেষ হ’য়ে গেছে একদিন সাধারণভাবে।
স্বভাব ::জীবনানন্দ দাশ ; সাতটি তারার তিমির : ১৯৪৮;

Thursday, June 15, 2006

আষাঢ়স্য প্রথম দিবস

আজ আষাঢ়স্য প্রথম দিবস, বরষা ঋতুর প্রথম দিন। অবশ্য বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী একদিন আগে থেকেই আষাঢ় শুরু...বরষার প্রথম দিনেই আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি হলো আজ, মাথার ভিতর সেই গানের কথাটাই ঘুরছে সারাদিন, “...সেদিন তাহার সাথে করো পরিচয়, কাছে কাছে থেকেও যে কভু কাছে নয়, বরষার প্রথম দিনে...” ‘তাহার’ সাথে কি কখনো দেখা হবে? কিংবা হবে পরিচয়?

Wednesday, June 14, 2006

মেঘ

জৈষ্ঠের আকাশে শ্রাবণের মেঘ...

Tuesday, June 13, 2006

আশ্চর্য সুন্দর এক শহরের দিকে

...এই আদিম এবং প্রায় অরন্যের মধ্যে আমাদের জন্য আরও কিছু অপেক্ষা করছিল। হঠাতই, কোন আশ্চর্য স্বপ্নের মতো, সেইসব প্রস্তর খন্ডের মধ্যে আশ্রিত সুন্দর একটা প্রান্তর আমরা দেখতে পেলাম। সেখানে ছিল স্বচ্ছ জল, সবুজ ঘাসের বন, অনেক বনফুল, এক ঝর্ণার কলধ্বনি। মাথার উপর নীল আকাশ, আর অরন্যের বাধামুক্ত অনাবিল আলোর স্রোত। সেখানে আমরা দাঁড়ালাম যেন কোন যাদুবৃত্তের মধ্যে, যেন কোন অপার্থিব পরিবেশে আর সেখানে আমি যেসব আচার-অনুষ্ঠানে অংশ নিলাম তার মধ্যে পবিত্র কিছুর আভাস ছিল। আমার সঙ্গী রাখালেরা তাদের অশ্বপৃষ্ঠ থেকে নেমে এলো। জায়গাটার ঠিক মাঝখানে বেশ আনুষ্ঠানিকভাবে রাখা ছিল একটা ষাঁড়ের মাথার খুলি...
পাবলো নেরুদার নোবেল বক্তৃতা ::ভাষান্তর :অলোক কুমার বসু ;

সোনারতরী

ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই-ছোটো সে তরী
আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।
শ্রাবণগগন ঘিরে
ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
শূন্য নদীর তীরে
রহিনু পড়ি-
যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনারতরী।।

সোনারতরী :: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ;

ঝরনাধারা

হিমছড়ির পাহাড়ী ঝরনা...

কেন এই দূর্ভোগ ?

বিরোধী দলের ডাকা আগামীকালের হরতালের জন্য আজকেই সারাদিন রাস্তায় অনেক কষ্ট করলাম। রাতে রিকশায় নিউমার্কেট থেকে শ্যামলী আসতে হলো। আর কতদিন আমাদের এই ভাবে দূর্ভোগ পোহাতে হবে? আমরা কি পারি না সরকারি বা বিরোধী কোন দলকেই ভোট না দিয়ে প্রতিবাদ করতে? মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ- এই করেই কি আমরা আরো পিছনের দিকে হাটবো? আমরা কি কোন দিনই স্বপ্ন দেখবো না?

Sunday, June 04, 2006

বৈষম্য নাকি পক্ষপাতিত্ব?

মেয়েটার বয়স খুব বেশি হলে ৪ বছর অথচ এখনই সে রাস্তার সিগন্যালে দাঁড়িয়ে ভিক্ষা করছে...“আমরা গরিব মানুষ ভাইয়া, ১টা টাকা দেন ভাইয়া, ভাত খামু ভাইয়া” মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে সে এই কথাগুলো বলছিলো... মজার ঘটনা হচ্ছে এত অল্প বয়সেই তাকে গরিব-ধনী এই বৈষম্য বোঝানো হয়েছে... কোনো শিশু কি গরিব হয়ে জন্ম নেয়? বিধাতা কেন আমাদের মাথার উপর জন্ম থেকেই মাথাপিছু ঋণের বোঝা চাপিয়ে দেন? কেন এই পক্ষপাতিত্ব?

Friday, June 02, 2006

কার কবিতা এটা?

যদি যেতে চাও যাও
আমি পথ হব চরণের তলে
না ছুঁয়ে তোমাকে ছোঁব
ফেরাবোনা
পোড়াবোই হিমেল অনলে

রাতের বৃষ্টি

বাইরে বৃষ্টি থেমে গেছে, স্নিগ্ধতা প্রকৃতির বুকে...

Thursday, June 01, 2006

গাঁয়ের বধূ

ছবিটা সুন্দর, তাই না?

Tuesday, May 30, 2006

শ্রাবণ কন্যাকে বলছি

আজ রাতের বৃষ্টির ফোটা গুলো
কবিতার পংক্তি হয়ে ভিজিয়ে দেবে
আমার তৃষিত হৃদয়
আমিই হবো সুযোগ্য পাঠক
নিমিষে পড়ে শেষ করবো বৃষ্টি কাব্য।

আজ শ্রাবণের মেঘের রাত
এ রাতেই বৃষ্টি ঝরে সব থেকে বেশি
শুনেছি বৃষ্টির রাতেও চাঁদ জেগে থাকে...

আজ রাতের বৃষ্টির ফোটা গুলো
তোমার মতো শব্দ করে আমাকে
সারারাত জাগিয়ে রাখবে,
আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো সেই মায়াবি
শব্দপাত আত্তস্থ করে
নতুন কবিতার শরীরে ঢালবো...

আজ শ্রাবণের বৃষ্টির রাত
আমি অন্য কোথাও যাবো না
শুধু তোমাতে থাকবে আমার দৃষ্টি নিবদ্ধ
এত বৃষ্টিতে ভিজে কেউ আসবে না
তুমি আর আমি,
শুধু তুমি আর আমি বৃষ্টিতে ভিজবো...

পথ

পথের মাঝে পথ হারালে আর কি পাওয়া যায়?

Monday, May 29, 2006

পরীক্ষা

পরীক্ষা পিছানোর মিছিল...জীবনে এই প্রথম আমি কোনো মিছিলে অংশ নিলাম। আমার মনে হয় পরীক্ষা পিছানোর অবশ্যই দরকার আছে...
২৪ মে , তিতুমীর হল, বুয়েট।

Friday, May 12, 2006

বৃষ্টি

কয়েক দিন ধরে প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে, অনেক সুন্দর বৃষ্টি...সবকিছুই কেমন অচেনা হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। আগে যেখানে রাত ১০টা মানে ঘুমানোর সময় ছি‍‍‍ল এখন সেই আমি ১১টার দিকে পলাশীর রাস্তা ধরে হেটে যাই আমার গন্তব্যে...আগে মনে হতো ঢাকার সব কিছুই নোংরা, কিন্তু নিশুতি রাতের ঢাকা অনেক সুন্দর, অনেক অনেক...
১১ মে, মিরপুর, ঢাকা।

Tuesday, May 09, 2006

৪০ টাকা জোড়া

বেশ কিছুদিন পর আজ কাটাবনে গিয়ে ৪০ টাকা জোড়া গোল্ডফিশ পেলাম। এই মাছ গুলো আমার খুব‌ প্রিয়, কেমন সারাদিন কোনো চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই মনের সুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে সারা অ্যাকুরিয়ামের ভিতর। মানুষ আর একটা গোল্ডফিশ আলাদা কারন মানুষকে খাবার জন্যে চিন্তা করতে হয় কিন্তু গোল্ডফিশ কে করতে হয় না।
৮ মে, মিরপুর, ঢাকা।

Sunday, May 07, 2006

শ্রাবণের ঘনঘটা

কেন জানি না আজ আমার খুব প্রিয় সেই গান মনে পড়ছে, “আজ শ্রাবণের আমন্ত্রনে...” ২৪ বৈশাখের প্রকৃতি মধ্য শ্রাবণের মত । প্রকৃতি কি আমাদের উপর প্রতিশোধ নিচ্ছে? এই খেয়ালি আচরণ কি তবে সকল অনাচার, সকল পাপের বিরুদ্ধে?
৭ মে , তিতুমীর হল, বুয়েট।

Friday, May 05, 2006

PL?

বুয়েট জীবনের আরেক PL (Preparatory Leave) চলে এলো। মনে হয় এই তো সেদিন লেভেল-১ এর ক্লাস শুরু করলাম...জীবন থেকে এতো তারাতারি ১৮ মাস চলে গেল, বুঝতেই পারলাম না। স্বপ্নের বুয়েট, এখন হায় বুয়েট...

Sunday, April 30, 2006

কিছুই বলার নাই

ঢাকা শহরের আকাশে আজ আর নতুন কোনো পাখি দেখিনা, দেখিনা নতুন কৃষ্ণচূড়া ফুল। আমাদের জীবনটা কি এভাবেই শুধু আকাশের দিকে তাকিয়েই কেটে যাবে?