কিছুদিন বিরতির পর আবার শুরু করছি...যান্ত্রিক ঢাকা শহরের সবকিছুই নিয়ম মেনে চলছে...মাঝে প্রকৃতিতে এসেছে বর্ষা, যেখানেই যাচ্ছি মাঝে মাঝেই ঝুপঝুপ করে বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিয়ে যাচ্ছে...কেটে যাচ্ছে অলস দুপুর-সন্ধ্যা-রাত, মায়াবি চাঁদের আলো আমার বিছানায় কিন্তু আমার চোখে ঘুম নেই, আমি ঘুমাতে পারছি না...
Saturday, June 24, 2006
Sunday, June 18, 2006
বাংলার মুখ
বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ
খুঁজিতে যাই না আর, অন্ধকারে জেগে উঠে ডুমুরের গাছে
চেয়ে দেখি ছাতার মতন বড়ো পাতাটির নিচে বসে আছে
ভোরের দোয়েল পাখি-চারদিকে চেয়ে দেখি পল্লবের স্তুপ
জাম-বট-কাঁঠালের-হিজলের-অশ্বত্থের করে আছে চুপ;
ফণীমনসার ঝোপে শটিবনে তাহাদের ছায়া পড়িয়াছে;
মধুকর ডিঙা থেকে না জানি সে কবে চাঁদ চম্পার কাছে
এমনই হিজল-বট-তমালের নীল ছায়া বাংলার অপরূপ রূপ
দেখেছিল; বেহুলাও একদিন গাঙুড়ের জলে ভেলা নিয়ে-
কৃষ্ণা দ্বাদশীর জ্যোস্না যখন মরিয়া গেছে নদীর চড়ায়-
সোনালি ধানের পাশে অসংখ্য অশ্বত্থ বট দেখেছিল, হায়,
শ্যামার নরম গান শুনেছিল, -একদিন অমরায় গিয়ে
ছিন্ন খঞ্জনার মত সে নেচেছিল ইন্দ্রের সভায়
বাংলার নদী মাঠ ভাঁটফুল ঘুঙুরের মত তার কেঁদেছিল পায়।
বাংলার মুখ ::জীবনানন্দ দাশ ; রূপসী বাংলা :
খুঁজিতে যাই না আর, অন্ধকারে জেগে উঠে ডুমুরের গাছে
চেয়ে দেখি ছাতার মতন বড়ো পাতাটির নিচে বসে আছে
ভোরের দোয়েল পাখি-চারদিকে চেয়ে দেখি পল্লবের স্তুপ
জাম-বট-কাঁঠালের-হিজলের-অশ্বত্থের করে আছে চুপ;
ফণীমনসার ঝোপে শটিবনে তাহাদের ছায়া পড়িয়াছে;
মধুকর ডিঙা থেকে না জানি সে কবে চাঁদ চম্পার কাছে
এমনই হিজল-বট-তমালের নীল ছায়া বাংলার অপরূপ রূপ
দেখেছিল; বেহুলাও একদিন গাঙুড়ের জলে ভেলা নিয়ে-
কৃষ্ণা দ্বাদশীর জ্যোস্না যখন মরিয়া গেছে নদীর চড়ায়-
সোনালি ধানের পাশে অসংখ্য অশ্বত্থ বট দেখেছিল, হায়,
শ্যামার নরম গান শুনেছিল, -একদিন অমরায় গিয়ে
ছিন্ন খঞ্জনার মত সে নেচেছিল ইন্দ্রের সভায়
বাংলার নদী মাঠ ভাঁটফুল ঘুঙুরের মত তার কেঁদেছিল পায়।
বাংলার মুখ ::জীবনানন্দ দাশ ; রূপসী বাংলা :
Friday, June 16, 2006
স্বভাব
যদিও আমার চোখে ঢের নদী ছিলো একদিন
পুনরায় আমাদের দেশে ভোর হ’লে,
তবুও একটি নদী দেখা যেতো শুধু তারপর;
কেবল একটি নারী কুয়াশা ফুরোলে
নদীর রেখার পার লক্ষ্য ক’রে চলে;
সূর্যের সমস্ত গোল সোনার ভিতরে
মানুষের শরীরের স্থিরতর মর্যাদার মতো
তার সেই মূর্তি এসে পড়ে।
সূর্যের সম্পূর্ণ বড় বিভোর পরিধি
যেন তার নিজের জিনিস।
এতদিন পরে সেইসব ফিরে পেতে
সময়ের কাছে যদি করি সুপারিশ
তা’হলে সে স্মৃতি দেবে সহিষ্ণু আলোয়
দু-একটি হেমন্তের রাত্রির প্রথম প্রহরে;
যদিও লক্ষ লোক পৃথিবীতে আজ
আচ্ছন্ন মাছির মত মরে-
তবুও একটি নারী ’ভোরের নদীর
জলের ভিতরে জল চিরদিন সূর্যের আলোয় গড়াবে
এ রকম দু-চারটে ভয়াবহ স্বাভাবিক কথা
ভেবে শেষ হ’য়ে গেছে একদিন সাধারণভাবে।
স্বভাব ::জীবনানন্দ দাশ ; সাতটি তারার তিমির : ১৯৪৮;
পুনরায় আমাদের দেশে ভোর হ’লে,
তবুও একটি নদী দেখা যেতো শুধু তারপর;
কেবল একটি নারী কুয়াশা ফুরোলে
নদীর রেখার পার লক্ষ্য ক’রে চলে;
সূর্যের সমস্ত গোল সোনার ভিতরে
মানুষের শরীরের স্থিরতর মর্যাদার মতো
তার সেই মূর্তি এসে পড়ে।
সূর্যের সম্পূর্ণ বড় বিভোর পরিধি
যেন তার নিজের জিনিস।
এতদিন পরে সেইসব ফিরে পেতে
সময়ের কাছে যদি করি সুপারিশ
তা’হলে সে স্মৃতি দেবে সহিষ্ণু আলোয়
দু-একটি হেমন্তের রাত্রির প্রথম প্রহরে;
যদিও লক্ষ লোক পৃথিবীতে আজ
আচ্ছন্ন মাছির মত মরে-
তবুও একটি নারী ’ভোরের নদীর
জলের ভিতরে জল চিরদিন সূর্যের আলোয় গড়াবে
এ রকম দু-চারটে ভয়াবহ স্বাভাবিক কথা
ভেবে শেষ হ’য়ে গেছে একদিন সাধারণভাবে।
স্বভাব ::জীবনানন্দ দাশ ; সাতটি তারার তিমির : ১৯৪৮;
Thursday, June 15, 2006
আষাঢ়স্য প্রথম দিবস
আজ আষাঢ়স্য প্রথম দিবস, বরষা ঋতুর প্রথম দিন। অবশ্য বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী একদিন আগে থেকেই আষাঢ় শুরু...বরষার প্রথম দিনেই আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি হলো আজ, মাথার ভিতর সেই গানের কথাটাই ঘুরছে সারাদিন, “...সেদিন তাহার সাথে করো পরিচয়, কাছে কাছে থেকেও যে কভু কাছে নয়, বরষার প্রথম দিনে...” ‘তাহার’ সাথে কি কখনো দেখা হবে? কিংবা হবে পরিচয়?
Wednesday, June 14, 2006
Tuesday, June 13, 2006
আশ্চর্য সুন্দর এক শহরের দিকে
...এই আদিম এবং প্রায় অরন্যের মধ্যে আমাদের জন্য আরও কিছু অপেক্ষা করছিল। হঠাতই, কোন আশ্চর্য স্বপ্নের মতো, সেইসব প্রস্তর খন্ডের মধ্যে আশ্রিত সুন্দর একটা প্রান্তর আমরা দেখতে পেলাম। সেখানে ছিল স্বচ্ছ জল, সবুজ ঘাসের বন, অনেক বনফুল, এক ঝর্ণার কলধ্বনি। মাথার উপর নীল আকাশ, আর অরন্যের বাধামুক্ত অনাবিল আলোর স্রোত। সেখানে আমরা দাঁড়ালাম যেন কোন যাদুবৃত্তের মধ্যে, যেন কোন অপার্থিব পরিবেশে আর সেখানে আমি যেসব আচার-অনুষ্ঠানে অংশ নিলাম তার মধ্যে পবিত্র কিছুর আভাস ছিল। আমার সঙ্গী রাখালেরা তাদের অশ্বপৃষ্ঠ থেকে নেমে এলো। জায়গাটার ঠিক মাঝখানে বেশ আনুষ্ঠানিকভাবে রাখা ছিল একটা ষাঁড়ের মাথার খুলি...
পাবলো নেরুদার নোবেল বক্তৃতা ::ভাষান্তর :অলোক কুমার বসু ;
পাবলো নেরুদার নোবেল বক্তৃতা ::ভাষান্তর :অলোক কুমার বসু ;
কেন এই দূর্ভোগ ?
বিরোধী দলের ডাকা আগামীকালের হরতালের জন্য আজকেই সারাদিন রাস্তায় অনেক কষ্ট করলাম। রাতে রিকশায় নিউমার্কেট থেকে শ্যামলী আসতে হলো। আর কতদিন আমাদের এই ভাবে দূর্ভোগ পোহাতে হবে? আমরা কি পারি না সরকারি বা বিরোধী কোন দলকেই ভোট না দিয়ে প্রতিবাদ করতে? মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ- এই করেই কি আমরা আরো পিছনের দিকে হাটবো? আমরা কি কোন দিনই স্বপ্ন দেখবো না?
Sunday, June 04, 2006
বৈষম্য নাকি পক্ষপাতিত্ব?
মেয়েটার বয়স খুব বেশি হলে ৪ বছর অথচ এখনই সে রাস্তার সিগন্যালে দাঁড়িয়ে ভিক্ষা করছে...“আমরা গরিব মানুষ ভাইয়া, ১টা টাকা দেন ভাইয়া, ভাত খামু ভাইয়া” মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে সে এই কথাগুলো বলছিলো... মজার ঘটনা হচ্ছে এত অল্প বয়সেই তাকে গরিব-ধনী এই বৈষম্য বোঝানো হয়েছে... কোনো শিশু কি গরিব হয়ে জন্ম নেয়? বিধাতা কেন আমাদের মাথার উপর জন্ম থেকেই মাথাপিছু ঋণের বোঝা চাপিয়ে দেন? কেন এই পক্ষপাতিত্ব?
Friday, June 02, 2006
Thursday, June 01, 2006
Subscribe to:
Posts (Atom)